মধূ জ্যৈষ্ঠের ষষ্ঠী তিথীতে কৈশর বিকেলে
একটি পদ্মদিঘীর পাড়ে।
কালো ভ্রমর তার সুরের ছন্দে উদাসী ফুলের গায়ে
মৃদু শিহরণ আনে, প্রতি ক্ষনে ক্ষনে হালকা ছোঁয়া পায়ে।
অনুরাধা তার কলস রেখে পদ্মদিঘীর জলে
বক্ষ ভাসিয়ে-বক্ষ ডুবিয়ে আঁচল ছড়িয়ে-
খেলে যে খেলা, চৈত্র সহন ছলে।
মায়াবী নেত্র ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অধর কাঁপিয়ে ভয়ে
পদ্ম তোলে আপন মনে জলেতে ঢেউ দিয়ে।
দেখেছে কি কেউ, তার আপন ছন্দ কল্পলোকে এসে
গেঁথেছে কি মন, তার হৃদয়ে,
মিলন মোহনায় ভেসে।
অবুঝ হৃদয় যে তার, কোন অচেনা সুরের তানে
মধূ মাসের মধূর বসন্তে, চেয়ে থাকে পথ পানে।
আসবে কি তার প্রাণের ভ্রমর, তনু শোভিত বসন্ত মিষ্ট ফুলে
প্রেম নিবেদন করবে কি গ্রহন, হিয়া বাতায়ন খুলে।
আশায়-আশায়, আশার বসতি অদূরের পানে
চেয়ে
আঁখি দুটি তার অশ্র“জলে ঝরে যে কপাল বেয়ে।
যৌবন যে তার পরিপূর্ণ, কোমরে ভরা কলস
তৃষ্ণার্ত ঐ হিয়া খানি তার করতে চাই যে আপোষ।
হৃদয় সাগর তার বেদনায় ভরে, দিঘীর জলে নেমে
জল নিয়ে অনু একা ফেরে নীড়ে বিধি যে তার বামে।
ব্যাথার বাসনা-কামনার আগুন, নীরব নিশীত রাতে
ইশারায় ডাকে আঁড়ালে থেকে, হয়তো কষ্ট দিতে।
কিশোরী হিয়া চাপা বেদনায় তবু স্বপ্ন দেখে
ফিরে
সূর্যকুমার প্রভাত হয়ে আসবে শূন্য আঁধার ঘরে।
অনাহারি হয়ে বসন্ত কুঞ্জে, অনুরাধার কুহূ কোকিলার ডাক
প্রবাল জোঁয়ার হয়ে ছুটে এসো প্রিয়-
ভাঙতে নদীর বাঁক ॥